ভারতে কোম্পানি শাসন
ভারতে কোম্পানি শাসন বলতে বুঝায় ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন।
➤ ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে বাংলার নবাব কোম্পানির হাতে পরাজিত হলে কার্যত এই শাসনের সূচনা ঘটে।
➤ ১৭৭২ সালে কোম্পানি কলকাতায় রাজধানী স্থাপন করে এবং প্রথম গভর্নর-জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংসকে নিযুক্ত করে
প্রত্যক্ষভাবে শাসনকার্যে অংশগ্রহণ করতে শুরু করে।
প্রত্যক্ষভাবে শাসনকার্যে অংশগ্রহণ করতে শুরু করে।
➤ ১৮৫৮ সাল পর্যন্ত এই শাসন স্থায়ী হয়েছিল।
➤ ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের পর ১৮৫৮ সালের ভারত শাসন আইন বলে ব্রিটিশ সরকার ভারতের প্রশাসনিক দায়দায়িত্ব স্বহস্তে
তুলে নেয় এবং দেশে নতুন ব্রিটিশ রাজ প্রবর্তিত হয়।
তুলে নেয় এবং দেশে নতুন ব্রিটিশ রাজ প্রবর্তিত হয়।
রাজ্যবিস্তার ও অধিভুক্ত অঞ্চল
১৬০০ সালে দ্য কোম্পানি অফ মার্চেন্টস অফ লন্ডন ট্রেডিং ইনটু দি ইস্ট ইন্ডিজ নামে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৬১২ সালে মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর পশ্চিম উপকূলের সুরাট বন্দরে কোম্পানিকে বাণিজ্যকুঠি স্থাপনের অনুমতি প্রদান করেন।
১৬৪০ সালে বিজয়নগর সম্রাটের কাছ থেকে অনুরূপ একটি অনুমতি আদায় করে দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে মাদ্রাজে কোম্পানি দ্বিতীয় বাণিজ্যকুঠিটি স্থাপন করে।
সুরাটের অদূরে বোম্বাই দ্বীপটি পূর্বে পর্তুগিজ উপনিবেশ ছিল।
দ্বিতীয় চার্লসের সঙ্গে ক্যাথারিন অফ ব্র্যাগাঞ্জার বিবাহের যৌতুক স্বরূপ দ্বীপটি ইংল্যান্ডের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ১৬৬৮ সালে কোম্পানি দ্বীপটি ইজারা নেয়। দুই দশক পরে কোম্পানি পূর্ব উপকূলেও আধিপত্য বিস্তারে প্রয়াসী হয়। গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চলে কলকাতায় তারা একটি বাণিজ্যকুঠি স্থাপন করে। এই সময় পর্তুগিজ, ডাচ, ফরাসি ও ড্যানিশ বণিকেরা নিজ নিজ কোম্পানি স্থাপন করে এই অঞ্চলে ব্যবসাবাণিজ্য চালাচ্ছিল। এখানে ইংরেজ কোম্পানির বাণিজ্যের সূত্রপাত ঘটে খুবই সাদামাটাভাবে। তাই এই সময় ভারতীয় উপমহাদেশে এদের ভবিষ্যৎ একাধিপত্যের বিষয়টি আগে থেকে আন্দাজ করা সম্ভবপর হয়নি।
কোম্পানি ভারতের সামান্য কয়েকটি অঞ্চলে প্রকৃত শাসকের ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে ক্লাইভের বিজয়ের পরই এই সমস্ত অঞ্চল সরকারিভাবে তাদের স্বাধীনতা হারায়। ১৭৬৪ সালে বিহারে বক্সারের যুদ্ধে জয়লাভ করার পর কোম্পানির ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পায়। সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম কোম্পানিকে বাংলা, বিহার ও ওড়িশার দেওয়ান বা রাজস্ব আদায়কারী ঘোষণা করতে বাধ্য হন। এইভাবে কোম্পানি নিম্ন গাঙ্গেয় উপত্যকার অধিকাংশ অঞ্চলে প্রকৃত শাসনকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। একইভাবে কোম্পানি বোম্বাই ও মাদ্রাজকে কেন্দ্র করে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলেও রাজ্যবিস্তারে মনোনিবেশ করে। ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ (১৭৬৬-৯৯) ও ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধের (১৭৭২-১৮১৮) পর শতদ্রু নদীর দক্ষিণে ভারতের অধিকাংশ অঞ্চলে কোম্পানির শাসন কায়েম হয়।
কোম্পানির ক্ষমতাবৃদ্ধির দুটি পৃথক ধারা লক্ষিত হয়। প্রথমত, দেশীয় রাজ্যগুলিকে গ্রাস করে সেখানে প্রত্যক্ষ শাসন প্রবর্তন করে এককভাবে ব্রিটিশ ভারতের অধীনে আনা হয়। এইভাবে অধিগৃহীত অঞ্চলগুলি হল উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ (রোহিলখণ্ড, গোরখপুর ও দোয়াব অঞ্চল নিয়ে গঠিত) (১৮০১), দিল্লি (১৮০৩) ও সিন্ধ (১৮৪৩)। ১৮৪৯ সালে ইঙ্গ-শিখ যুদ্ধের পর পাঞ্জাব, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ ও কাশ্মীর অধিগৃহীত হয়। তবে ১৮৫০ সালে অমৃতসরের চুক্তি অনুযায়ী কাশ্মীর জম্মুর ডোগরা রাজবংশের কাছে বিক্রয় করে দেওয়া হয়। এইভাবে কাশ্মীর একটি দেশীয় রাজ্যে পরিণত হয়। ১৮৫৪ সালে বেরার ও দু-বছর বাদে অযোধ্যা অধিগৃহীত হয়।
ক্ষমতা বৃদ্ধির দ্বিতীয় পন্থাটি ছিল ভারতীয় শাসকদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়া। এই সকল শাসকেরা সীমিত আঞ্চলিক স্বশাসনের বিনিময়ে কোম্পানির আধিপত্য মেনে নিতেন। কোম্পানিকে যেহেতু আর্থিক সীমাবদ্ধতার মধ্যে কাজ করতে হত, সেহেতু শাসনকার্য চালানোর জন্য এটিকে রাজনৈতিক আলম্ব তৈরি করতে হয়।[৭] কোম্পানি শাসনের প্রথম ৭৫ বছর এই ধরনের সমর্থন আসে দেশীয় রাজ্যগুলির সঙ্গে সাবসিডারি অ্যালায়েন্স-এর থেকে।[৭] ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে এই অঞ্চলগুলি ভারতের এক-তৃতীয়াংশ নিয়ে প্রসারিত ছিল।[৭] নিজের অঞ্চল রক্ষা করতে সক্ষম কোনো দেশীয় রাজা যখন এই ধরনের জোটে আগ্রহী হতেন তখন কোম্পানি পরোক্ষ শাসনের সুলভ পদ্ধতি হিসেবে তাকে স্বাগত জানাতো। কারণ এর ফলে প্রত্যক্ষ প্রশাসনের অর্থনৈতিক ব্যয়বরাদ্দ বা বিদেশি প্রজা পালনের রাজনৈতিক খরচাপাতি কোম্পানিকে বহন করতে হত না।[৮] পরিবর্তে কোম্পানিও এই সকল অধীনস্থ রাজ্যের প্রতিরক্ষার দিকটি দেখত এবং শাসকদের সনাতন পন্থায় সম্মান প্রদর্শন করত।[৮] হিন্দু মহারাজা ও মুসলমান নবাবদের দেশীয় রাজ্যগুলিকে নিয়ে এই সহকারী শক্তিজোট তৈরি হয়েছিল। এই সব দেশীয় রাজ্যগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: কোচিন (১৭৯১), জয়পুর (১৭৯৪), ত্রিবাঙ্কুর (১৭৯৫), হায়দ্রাবাদ (১৭৯৮), মহীশূর (১৭৯৯), কিস-শতদ্রু পার্বত্য রাজ্যসমূহ (১৮১৫), সেন্ট্রাল ইন্ডিয়া এজেন্সি (১৮১৯), কচ্ছ ও গুজরাট গাইকওয়াড় অঞ্চলসমূহ (১৮১৯), রাজপুতানা (১৮১৮) ও ভাওয়ালপুর (১৮৩৩)।[৬]
গভর্নর-জেনারেল
ঔপনিবেশিক ভারত
| |
ডাচ ভারত | ১৬০৫–১৮২৫ |
---|---|
ডেনিশ ভারত | ১৬২০–১৮৬৯ |
ফরাসী ভারত | ১৭৬৯-১৯৫৪ |
কাসা দা ইন্ডিয়া | ১৪৩৪–১৮৩৩ |
পর্তুগীজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি | ১৬২৮–১৬৩৩ |
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি | ১৬১২–১৭৫৭ |
ভারতে কোম্পানি শাসন | ১৭৫৭–১৮৫৮ |
ব্রিটিশ ভারত | ১৮৫৮–১৯৪৭ |
বার্মায় কোম্পানি শাসন | ১৮২৪–১৯৪৮ |
দেশীয় রাজ্য | ১৭২১–১৯৪৯ |
ভারত বিভাগ |
১৯৪৭
|
(যে সকল গভর্নর-জেনারেলের (অস্থায়ী) শাসনকালে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেনি, তাদের নিম্নলিখিত তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে।)
গভর্নর-জেনারেল | শাসনকাল | ঘটনাবলি |
---|---|---|
ওয়ারেন হেস্টিংস | ২০ অক্টোবর, ১৭৭৩–১ ফেব্রুয়ারি, ১৭৮৫ | ছিয়াত্তরের মন্বন্তর (১৭৬৯-৭৩) রোহিলা যুদ্ধ (১৭৭৩-৭৪) প্রথম ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধ (১৭৭৩-৮৩) চালিসা মন্বন্তর (১৭৮৩-৮৪)
দ্বিতীয় ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ (১৭৮০-৮৪)
|
চার্লস কর্নওয়ালিস | ১২ সেপ্টেম্বর, ১৭৮৬–২৮ অক্টোবর, ১৭৯৩ | চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত তৃতীয় ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ (১৭৮৯-৯২) দোজি বরা মন্বন্তর (১৭৯১-৯২) |
জন শোর | ২৮ অক্টোবর, ১৭৯৩–মার্চ ১৭৯৮ | ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আর্মি পুনর্গঠিত হয় এবং এর ব্যয়সংকোচ করা হয়। |
রিচার্ড ওয়েলেসলি | ১৮ মে, ১৭৯৮–৩০ জুলাই, ১৮০৫ | চতুর্থ ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ (১৭৯৮-৯৯)
অযোধ্যার নবাব গোরখপুর ও বেরিলি বিভাগ; এলাহাবাদ, ফতেহপুর, কানপুর, এটাওয়া, মণিপুরী, এটাহ জেলা; মির্জাপুরের অংশবিশেষ; এবং কুমায়ুনের "তরাই" প্রত্যর্পণ করেন ("প্রত্যর্পিত প্রদেশ", ১৮০১)
দ্বিতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধ (১৮০৩-০৫) দোয়াবের অবশিষ্টাংশ ও আগ্রা বিভাগ, বুন্দেলখণ্ডের অংশবিশেষ মারাঠা সাম্রাজ্য থেকে অধিগৃহীত হয় (১৮০৫)। প্রত্যর্পিত ও বিজিত প্রদেশসমূহ প্রতিষ্ঠিত হয় (১৮০৫)। |
চার্লস কর্নওয়ালিস (দ্বিতীয়বার) | ৩০ জুলাই, ১৮০৫–৫ অক্টোবর, ১৮০৫ | ব্যয়বহুল যুদ্ধাভিযানের পর কোম্পানিতে আর্থিক চাপ শান্তি স্থাপনের প্রচেষ্টায় কর্নওয়ালিসকে পুনর্বহাল করা হয়। কিন্তু তিনি গাজিপুরে মারা যান। |
জর্জ হিলারিও বার্লো (অস্থায়ী) | ১০ অক্টোবর, ১৮০৫–৩১ জুলাই, ১৮০৭ | ভেলোর বিদ্রোহ (১০ জুলাই, ১৮০৬) |
লর্ড মিন্টো | ৩১ জুলাই, ১৮০৭ –৪ অক্টোবর, ১৮১৩ | জাভা আক্রমণ মরিশাস দখল |
মার্কুইস অফ হেস্টিংস | ৪ অক্টোবর, ১৮১৩ –৯ জানুয়ারি, ১৮২৩ | ১৮১৪ সালে ইঙ্গ-নেপাল যুদ্ধ কুমায়ুন, গাড়ওয়াল ও পূর্ব সিক্কিম অধিগ্রহণ। তৃতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধ (১৮১৭-১৮১৮) রাজপুতানা রাজ্যসমূহ ব্রিটিশ আধিপত্য স্বীকার করে নেয় (১৮১৭)। |
লর্ড আমহার্স্ট | ১ অগস্ট, ১৮২৩–১৩ মার্চ, ১৮২৮ | প্রথম ইঙ্গ-ব্রহ্ম যুদ্ধ (১৮২৩-২৬) আসাম, মণিপুর এবং ব্রহ্মদেশের থেকে আরাকান ও টেনাসেরিম অধিগ্রহণ। |
উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক | ৪ জুলাই, ১৮২৮–২০ মার্চ, ১৮৩৫ | সতীদাহ প্রথা#ব্রিটিশ ও অন্যান্য ইউরোপীয় উপনিবেশে সতীদাহ প্রথা রদ (১৮২৯) ঠগি দমন (১৮২৬-৩৫) মহীশূর রাজ্য ব্রিটিশ প্রশাসনের অধীনস্থ হয় (১৮৩১-১৮৮১) কুর্গ অধিগৃহীত হয় (১৮৩৪)। |
লর্ড অকল্যান্ড | ৪ মার্চ, ১৮৩৬–২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৮৪২ | উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ প্রতিষ্ঠিত হয় (১৮৩৬) ১৮৩৭-৩৮ সালের আগ্রা মন্বন্তর প্রথম ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধ (১৮৩৯-১৮৪২) এলফিনস্টোন বাহিনী গণহত্যা (১৮৪২) |
লর্ড এলেনবরো | ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৮৪২–জুন, ১৮৪৪ | প্রথম ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধ (১৮৩৯-১৮৪২) সিন্ধ অধিগ্রহণ (১৮৪৩) ব্রিটিশ ভারতে দাসপ্রথা বিলোপ (১৮৪৩) |
হেনরি হার্ডিঞ্জ | ২৩ জুলাই, ১৮৪৪–১২ জানুয়ারি, ১৮৪৮ | প্রথম ইঙ্গ-শিখ যুদ্ধ (১৮৪৫-৪৬) লাহোর চুক্তি (১৮৪৬) অনুযায়ী, শিখেরা জলন্ধর দোয়াব, হাজারা ও কাশ্মীর ব্রিটিশদের প্রত্যর্পণ করে। অমৃতসর চুক্তি (১৮৪৬) অনুযায়ী, কাশ্মীর জম্মুর রাজা গুলাব সিংকে বিক্রয় করে দেওয়া হয়। |
মার্কুইস অফ ডালহৌসি | ১২ জানুয়ারি, ১৮৪৮–২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৮৫৬ | দ্বিতীয় ইঙ্গ-শিখ যুদ্ধ (১৮৪৮-৪৯) পাঞ্জাব ও উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ অধিগ্রহণ (১৮৪৯) ভারতীয় রেলের নির্মাণকার্যের সূচনা (১৮৫০) ভারতে প্রথম টেলিগ্রাফ লাইন স্থাপন (১৮৫১) দ্বিতীয় ইঙ্গ-ব্রহ্ম যুদ্ধ (১৮৫২-৫৩) নিম্ন ব্রহ্মদেশ অধিগ্রহণ গঙ্গা খাল চালু (১৮৫৪) |
চার্লস ক্যানিং | ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৮৫৬–১ নভেম্বর, ১৮৫৮ | বিধবাবিবাহ আইন (২৫ জুলাই, ১৮৫৬) প্রথম আধুনিক ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের প্রতিষ্ঠা (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর, ১৮৫৭) ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহ (১০ মে, ১৮৫৭–২০ জুন, ১৮৫৮) (প্রধানত উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ ও অযোধ্যায় ভারত শাসন আইন, ১৮৫৮ অনুযায়ী ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনবিলোপ। |